
পটুয়াখালীর আলোচিত জুলাই শহীদ জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া ধর্ষণ মামলায় তিন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিলুফার শিরিন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আসামি শাকিব মুন্সি ও সিফাত মুন্সিকে ১৩ বছর করে এবং ইমরান মুন্সিকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে শাকিব ও সিফাতকে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় আসামিদের আদালতে উপস্থিত করা হয় এবং কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তাদের হাজির করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া এলাকায় বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি ফেরার পথে লামিয়াকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন (১৯ মার্চ) ভুক্তভোগী নিজেই দুমকি থানায় মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে দুমকি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম ১ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। প্রথমে দুজনের নাম থাকলেও পরবর্তীতে তদন্তে ইমরান মুন্সির নামও অন্তর্ভুক্ত হয়। তিন আসামির বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শিশু আইনে অভিযোগ গঠন করা হয়।
ঘটনার এক মাস পর ২৬ এপ্রিল রাজধানীর শেখেরটেকের একটি ভাড়া বাসা থেকে লামিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, ন্যায়বিচারের আশায় মানসিক চাপে ছিলেন তিনি।
সাত মাস ধরে চলা তদন্ত, সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে ১৯ অক্টোবর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয় এবং বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ের পর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, “আমরা মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি। আদালত আজ ন্যায়বিচার করেছেন।”